মোহাম্মদ মামুন রেজা, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধামরাইয়ে সরকারি হাসপাতালের ভিতর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের ছয় জন দালাল চক্রের নারী সদস্যকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে সোপর্দ করেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ধামরাই সরকারি হাসপাতালের আশেপাশে বেশ কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালের ১০০ গজের মধ্যে কোন প্রাইভেট হাসপাতাল থাকাতে পারবে না। অথচ হাসপাতালের কাছে গেইট সংলগ্ন গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার।এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার কতৃপক্ষ বেশ কিছু নারী কর্মী নিয়োগ দিয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে আসে। তার বিনিময়ে ঔসব নারী কর্মকর্তারা শতকরা হিসেবে একটি ভাগ নিয়ে থাকে ।
আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো আজও সেই নারী কর্মকর্তারা ভিড় জমাতে থাকে হাসপাতাল গেইটে এক পর্যায় তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে রোগী ভাগানোর সময় হাসপাতাল কতৃপক্ষ দালান চক্রের ৬ নারী সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে সোপর্দ করেন।আটককৃত নারীরা হলেন সাভারের ঘুঘুদিয়া এলাকার হাসমত আলীর মেয়ে শিল্পী আক্তার, সাভারের নয়ারহাট এলাকার আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে শিউলি আক্তার, ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে মাসুমা, ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে মিনা আক্তার, ধামরাইয়ের কেলিয়া এলাকার রেজাবর ইসলামের মেয়ে নিলা আক্তার,ধামরাইয়ের ইসলামপুরের খোরশেদ আলমের মেয়ে শারমিন আক্তার। এরা প্রতিনিয়ত সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালের ভিতর থেকে রোগী ভাগিয়ে যে যার ক্লিনিকে নিয়োগ প্রাপ্ত সেখানে বিভিন্ন ধরনের পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য নিয়ে আসে।দেখা যায়, সরকারি হাসপাতালের সন্নিকটে চয়নিকা হাসপাতাল, আইকন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সন্ধানী ক্লিনিক,আজাহার ক্লিনিক অবস্থিত। এসব নামধারী হাসপাতালের মালিকরা মাসিক বেতন ও শতকরা হারে এই দালালদের টাকা দিয়ে থাকে। তারা সরকারি হাসপাতালের চেয়ে কম টাকায় চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে রোগী নিয়ে নিজ নিজ প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসে।আটককৃত নারীরা বলেন, প্রাইভেট হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমাদের মাসিক বেতনে নিয়োগ দিয়েছে। আমাদের কাজ হলো সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সরকারী হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসে তাদেরকে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসা।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূর রিফফাত আরা বলেন, সরকারি হাসপাতালের পাশে বেশ কিছু অবৈধ ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এই সব ক্লিনিকের মালিকরা এইসব কিছু কর্মী নিয়োগ দিয়ে রোগী ভাগানোর কাজ করে থাকে। সরকারি হাসপাতালে কোন টেষ্ট হয়না। এই বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে তাদের নিয়ে যায়। এদের সাথে প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিকরাও জড়িত।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল হক জানান,তারা যাতে আর কোনো দিন এই কাজের সাথে জড়িত না হয় সে জন্য সতর্ক করে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে এক মাসের জেল দেয়া হয়।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply